ট্রাম্পকে তুলোধুনা করলেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট

ইরানকে পরমাণু সমঝোতা ছাড়তে বাধ্য না করার জন্য মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাকরন।

পাশাপাশি বাণিজ্য নিয়ে মার্কিন বলদর্পী বা কর্তৃত্বকামী হুমকির মোকাবেলায় বিশ্ব নেতাদের তিনি রুখে দাঁড়ানোর আহ্বান জানান।

ট্রাম্পকে উদ্দেশ করে ম্যাকরন বলেছেন, আপনার পূর্বসূরির সই করা চুক্তি মেনে নিতে আপনার ভালো না লাগতে পারে কারণ, তাতে আপনার পূর্বসূরি সই করেছেন কিন্তু অন্যদের এ চুক্তির প্রতি সম্মান দেখানো থেকে বিরত রাখার চেষ্টা করবেন না এবং ইরানকে এ চুক্তি থেকে বেরিয়ে যেতে বাধ্য করবেন না।

কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর সঙ্গে অটোয়ায় এক সংবাদ সম্মেলনে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এসব কথা বলেছেন।

কানাডার কুইবেকে অনুষ্ঠিত হচ্ছে শিল্পোন্নত দেশগুলোর সংগঠন জি-সেভেনের শীর্ষ সম্মেলন। সম্মেলনের অবকাশে দুই নেতা যৌথ সংবাদ সম্মেলন করলেন।

যুক্তরাষ্ট্র এবং অন্য ছয়টি দেশের মধ্যে বাণিজ্য, জলবায়ু পরিবর্তন ও ইরানের পরমাণু সমঝোতা নিয়ে তীব্র মতবিরোধের মধ্যে এবারের শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

ম্যাকরন বলেন, আমি সহযোগিতা ও বহুত্বপাক্ষিকতায় বিশ্বাস করি কারণ আমি আমার সব শক্তি দিয়ে বলদর্পিতাকে প্রতিহত করব। বলদর্পিতা ‘জোর যার মুল্লুক তার’ নীতি প্রতিষ্ঠা করে। বলদর্পিতার মাধ্যম আইনের শাসনের অবসান ঘটে।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প মিত্রদেশগুলোর ওপর বাণিজ্য শুল্ক আরোপ করার পর ম্যাকরন এসব কথা বললেন। ট্রাম্পের শুল্ক আরোপের ঘটনাকে তাদের সঙ্গে যুদ্ধের দামামা বাজানো বলেও মন্তব্য করেন।

ট্রাম্পকে উদ্দেশ করে ম্যাকরন বলেন, আন্তর্জাতিক এই প্রেক্ষাপটে আপনি মিত্রদের বিরুদ্ধে বাণিজ্য-যুদ্ধ শুরু করতে পারেন না। এটা আমার কাছে নীতির প্রশ্ন।

তিনি আরও বলেন, জি-সেভেন সংগঠনের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারের চেয়ে বাকি ছয় সদস্যের বাজার বড়।

তিনি সদস্য দেশগুলোকে বোঝানোর চেষ্টা করেন যে, মার্কিন সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য সম্মেলনের চূড়ান্ত বিবৃতি তৈরি করা ঠিক হবে না।

তিনি বলেন, মার্কিন প্রত্যাশা পূরণের চেষ্টার চেয়ে সদস্য দেশগুলোর উচিত হবে অভিন্ন মূল্যবোধ তুলে ধরা।

সংবাদ সম্মেলনে কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো মার্কিন শুল্ককে ‘একতরফা ও অবৈধ’ বলে উল্লেখ করেন।

তিনি বলেন, জাতীয় নিরাপত্তার অজুহাত দেখিয়ে তাদের ওপর শুল্ক আরোপ করা হাস্যকর ব্যাপার। ট্রাম্পের এই পদক্ষেপ তার নাগরিকদের জন্য ক্ষতি ডেকে আনবে।